পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বীরগঞ্জ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে শিশু ও যুব ফোরামের উদ্যোগে শুরু হয়েছে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ অভিযান। এ কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হলো পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিকের বোতলসহ অন্যান্য বর্জ্য সংগ্রহ করে সঠিকভাবে পুনর্ব্যবহার বা পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ করা, যাতে পরিবেশ দূষণ কমে এবং এলাকা পরিচ্ছন্ন থাকে।
এ কার্যক্রমের আওতায়—
পলিথিন ও প্লাস্টিক বোতল সংগ্রহ: এলাকাবাসীর কাছ থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়।
বর্জ্য পৃথককরণ: পুনর্ব্যবহারযোগ্য ও অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য আলাদা করা হয়।
সচেতনতা বৃদ্ধি: শিশু ও যুব ফোরামের সদস্যরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করছেন, যাতে তারা নিজ উদ্যোগে এলাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখেন।
স্থানীয় সমর্থন ও অংশগ্রহণ: এলাকাবাসীও এ উদ্যোগে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছেন এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়তে নিজেদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
শিশু ও যুব ফোরামের এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা করছে—
✔ ইউ এল (UL)
✔ এলএসবিই (LSBE)
✔ ইম্প্যাক্ট প্লাস (Impact Plus)
✔ স্থানীয় ফেসিলিটেটর ভাই ও বোনেরা
এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “এ ধরনের উদ্যোগ যদি নিয়মিত নেওয়া হয়, তাহলে আমাদের এলাকা আরও পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর হবে। আমরা নিজেরাই এখন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে সচেতন হচ্ছি।”
বীরগঞ্জ যুবকরাদের সভাপতি নূরনবী ইসলাম এ কার্যক্রম দেখে প্রশংসা করে বলেন—
“শিশু ও যুব ফোরামের এই উদ্যোগ সত্যিই অনুকরণীয়। তরুণ প্রজন্ম যদি পরিবেশ রক্ষায় এমন ভূমিকা রাখে, তাহলে ভবিষ্যতে আমরা আরও সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন সমাজ পাবো। প্লাস্টিক দূষণ আমাদের পরিবেশের জন্য বড় হুমকি। তাই আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব, যেকোনোভাবেই হোক, প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখা। আমি সবাইকে আহ্বান জানাই, এই সচেতনতা নিজের পরিবার ও আশেপাশের মানুষদের মাঝেও ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য।”
এ কার্যক্রম দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এলাকাবাসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা তাদের বাড়ির আশেপাশে আর কোনো প্লাস্টিক বর্জ্য জমতে দেবেন না। তারা সকলে মিলে পরিচ্ছন্নতা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তাই আসুন, সবাই মিলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি এবং প্লাস্টিক মুক্ত একটি পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ি!
Leave a Reply