1. admin@mknews71.com : mknews71 :
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষের হঠাৎ চেয়ারে বসার চেষ্টা, জানেনা সভাপতি ইউএনও! আল্টিমেটাম মিঠাপুকুরে তালাকপ্রাপ্ত মেয়ের বাবার বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড, ক্ষতি তিন লক্ষাধিক টাকা মিঠাপুকুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ:এলাকায় চাঞ্চল্য, আসামী পলাতক ৫৮ দিনে যে ঝড় তুলেছিলেন, সেই ঝড়েই বিদায়: মিঠাপুকুরের ইউএনও জিল্লুর রহমানের বদলি জনগণের অর্থায়নে রাস্তা সংস্কার: দৃষ্টান্ত স্থাপন করল মিঠাপুকুরের গোপালপুর ইউনিয়ন বীরগঞ্জে শিশু-যুবদের পরিবেশ সচেতনতামূলক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বৈরাতীহাট তালীমুল সুন্নাহ মাদ্রাসা ও মসজিদ উন্নয়ন উপলক্ষে আলোচনা সভা, মতবিনিময় ও দোয়ার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত ৩০ জনে ২৪ জন জিপিএ-৫ — চমকে দিল খামার হরিপুরের আইডিয়াল প্রি-ক্যাডেট স্কুল মিঠাপুকুরে ছড়ান বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উন্নয়ন প্রকল্প ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত জুলাই আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ দিনগুলোতে নির্ভীক কণ্ঠস্বর: সাংবাদিক সুলতান মারজান (হৃদয়)

মিঠাপুকুরে জলমহলে বিষ প্রয়োগ ও পানি শুকিয়ে চলছে মাছ শিকার, নেই প্রশাসনিক তদারকি

  • প্রকাশিত : শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৫৯ বার পাঠ করা হয়েছে

মিঠাপুকুর (রংপুর):

মিঠাপুকুর উপজেলার বিভিন্ন জলমহলে ইজারা স্থগিত থাকা বা এখনো নতুন ইজারা না হওয়ায় চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এই সুযোগে একশ্রেণির অসাধু ব্যক্তি অবৈধভাবে বিষ প্রয়োগ করে এবং মেশিন লাগিয়ে পানি শুকিয়ে জলমহল থেকে মাছ শিকার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে পরিবেশের চরম ক্ষতি সাধিত হচ্ছে এবং বিলুপ্তির পথে যাচ্ছে জলজ জীববৈচিত্র্য।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কোনো তদারকি না থাকায় এ ধরনের কর্মকাণ্ড দিনের পর দিন অব্যাহত রয়েছে। আগামীকাল থেকে পূর্ববর্তী ইজারার মেয়াদও আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়ে যাবে। ফলে এসব জলমহল কার্যত নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলার কয়েকজন মৎস্যজীবী জানান, “অনেক জায়গায় রাতে বিষ দিয়ে মাছ মারা হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও পাম্প বসিয়ে পুরো জলাশয়ের পানি শুকিয়ে ফেলা হচ্ছে। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি, আর কিছু প্রভাবশালী মাছ লুটে নিচ্ছে।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, জলমহলে বিষ প্রয়োগ এবং মেশিনের মাধ্যমে পানি শুকিয়ে মাছ ধরা পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি। এর ফলে শুধু মাছ নয়, জলাশয়ের অন্যান্য প্রাণী ও উদ্ভিদও ধ্বংস হয়ে যায়।

স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, জলমহল হচ্ছে সরকারি সম্পদ এবং জনস্বার্থে সংরক্ষণের বিষয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
তারা জোর দাবি জানান—

অবিলম্বে জলমহলগুলোতে নজরদারি বাড়াতে হবে

অবৈধভাবে মাছ ধরায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে

নতুন ইজারা না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করতে হবে

উল্লেখ্য, মিঠাপুকুর উপজেলায় একাধিক জলমহল রয়েছে, যেগুলো একসময় মৎস্যচাষ এবং জীবিকাভিত্তিক কার্যক্রমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস ছিল। বর্তমানে প্রশাসনের উদাসীনতায় তা ধ্বংসের পথে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি