নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আমি মো: সাকিব আল হাসান। জন্ম ৮ জুলাই ২০০৯ দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার ঢিপিকুড়া গ্রামের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে।
আজ ১২ ই জানুয়ারি, সকলের কাছে দিনটি একটি সাধারণ দিন হতে পারে। কিন্তু আমার কাছে একটি মহা মূল্যবান দিন। কারণ এই দিনটিতেই আমি সর্বপ্রথম কাহারোল এপি,ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত একটি মিটিং এর মাধ্যমে শিশু ফোরামে যুক্ত হয়েছিলাম ২০২২ সালে।
আমি দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ শিশু ফোরামে যুক্ত রয়েছি(২০২২-২০২৫)।
প্রাণ ভোমরা শিশু ফোরামের সকল সদস্যদের নিয়ে শিশু এবং সমাজের উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের সমাজ সেবামূলক কাজ করে চলেছি।
শিশু ফোরামের সভাপতি হিসেবে আমি সব সময় চেষ্টা করি আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার এবং সকল শিশু ফোরামের সদস্যদের নিয়ে বিভিন্ন রকমের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম করার যা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
শিশু ফোরাম আমাকে শেখায় আদর্শ মানুষ হতে, নৈতিক মূল্যবোধের অনুসারী হয়ে জীবন পরিচালনা করতে এবং একটি সুন্দর সমাজ ও দেশ গড়তে নিজের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে।
আমার মনে পড়ে আমি যখন অষ্টম শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থী, তখন আমাদের এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত শিশু সুরক্ষা সহায়তাকারীর মাধ্যমে আমার শিশু ফোরামে কাজ করার পথযাত্রা শুরু হয়।
সকল শিক্ষার্থীরাই লেখাপড়া করে, কিন্তু কখনো যদি তাদেরকে বলা হয় কোন একটি বিষয়ে উপস্থাপন করতে তখন অনেকের মধ্যেই কথা বলার জড়তা কাজ করে।
ঠিক এমনই আমার মধ্যেও ছিল এরকমই কথা বলার জড়তা, আমি সবার সাথে কথা বলতে পারলেও , সকলের সামনে গিয়ে একটি বিষয় উপস্থাপন করতে পারতাম না।শিশু ফোরামে যুক্ত হওয়ার পর আমার সেই জড়তাটি কেটে গিয়েছে।
আমার মনে আছে তিন বছর আগে করোনা কালীন সময় পেরিয়ে যখন আমরা স্কুলে ক্লাস করার সুযোগ পাই, তখন আমি দশ জনের সামনে দাঁড়িয়ে একটি বিষয় সম্পর্কে কথা বলতে পারতাম না।
কিন্তু এখন যদি আমাকে ১০০ জনের সামনে কোন একটি বিষয় উপস্থাপন করতে বলে তাহলে আমি নির্দ্বিধায় কোন জড়তা ছাড়া সেই 100 জনের সামনে বিষয়টি উপস্থাপন করতে পারি।
আমার এই জড়তা কাটাতে শিশু ফোরাম এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। তাই সর্বোপরি আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই, World Vision Bangladesh কে শিশুদের প্রতিভা বিকাশে এত সুন্দর একটি সংগঠন তৈরি করার জন্য এবং শিশুদের নিয়ে কাজ করার জন্য এবং তারও সাথে ধন্যবাদ কাহারোল এপি অফিসের সকল দাদা দিদিদের যারা শিশু ফোরামের মাধ্যমে আমার এবং আমার সহকর্মীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে অনেক সহায়তা করেন।
Leave a Reply