চট্টগ্রাম এসিও, মেহেদী হাসান মুরাদ:
মধ্যম মোহরা এলাকা প্লাস্টিক মুক্ত করতে ও পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একটি বিশেষ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা আয়োজিত হয় ‘ঊষার আলো শিশু ফোরাম’ এবং ‘মোহরা যুব ফোরাম’-এর উদ্যোগে, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের কর্ণফুলী এপির সহায়তায়।
এই ক্যাম্পেইনের মূল উদ্দেশ্য ছিল মধ্যম মোহরা এলাকা থেকে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো এবং পুরো এলাকাকে প্লাস্টিক মুক্ত করা। ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারীদের একটি উৎসাহিত উদ্যোগ হিসেবে ১ কেজি প্লাস্টিকের বিনিময়ে ২টি সাবান প্রদান করা হয়।
ফোরামের সদস্যদের সচেতনতা প্রচার
শিশু ও যুব ফোরামের সদস্যরা ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারীদের প্লাস্টিকের কুফল সম্পর্কে সচেতন করেন এবং তাদের পরিবেশবান্ধব আচরণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন। তারা উল্লেখ করেন, প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং এর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব আমাদের জীববৈচিত্র্য ও মানব স্বাস্থ্যের ওপর পড়তে পারে। তাদের দাবি, একে দূর করতে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং কম প্লাস্টিক ব্যবহার করা জরুরি।
এটি ছিল একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ
এই ক্যাম্পেইনটি মোহরার ঐতিহ্যবাহী সেন্ট্রাল মোহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে স্থানীয় মানুষ, শিশু, এবং যুব সমাজ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে এবং প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রধান উদ্যোক্তার বক্তব্যে
ঊষার আলো শিশু ফোরামের সভাপতি অর্পন দাশ নিত্য
বলেন, “আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল এই অঞ্চলে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো এবং সবাইকে পরিবেশের প্রতি আরও সচেতন করা। আমরা বিশ্বাস করি, যদি সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করে, তাহলে প্লাস্টিক দূষণ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।”
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ভূমিকা
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের কর্ণফুলী এপির সহযোগিতায় এই ক্যাম্পেইনটি একটি সফল উদ্যোগ হিসেবে পরিণত হয়েছে। তাদের প্রচেষ্টায় এই ক্যাম্পেইনটি স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে।
সামাজিক দায়িত্ব পালন
এই ধরনের ক্যাম্পেইন শুধু পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং এটি সমাজের সব স্তরের মানুষের মধ্যে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করে। সচেতনতার পাশাপাশি এটি একটি মাইলফলক হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা ভবিষ্যতে অন্যান্য অঞ্চলে প্লাস্টিক দূষণ কমানোর কার্যক্রমে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
এটি ছিল একটি উদাহরণমূলক পদক্ষেপ, যেখানে শিশু এবং যুব সমাজ একত্রিত হয়ে নিজেদের এলাকায় পরিবেশের রক্ষা করতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।
Leave a Reply