সাকিব আল হাসান
তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের কালনা গ্রামে একদল শিশু এখন স্বপ্ন দেখতে শিখেছে নতুনভাবে। তাদের ছোট্ট সঞ্চয় একদিন হয়ে উঠবে তাদের ভবিষ্যতের ভিত্তি—এই বিশ্বাস থেকেই তানোর এপি শিশু ফোরাম এক অনন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
শিশুদের স্বপ্ন ছিল তারা সঞ্চয় করবে, সেই অর্থ ভবিষ্যতে পড়াশোনার কাজে লাগাবে কিংবা নিজেদের উন্নতির জন্য কিছু করবে। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য শিশু ফোরামের সদস্যরা বৈঠকে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেয়—প্রত্যেক শিশুকে দেওয়া হবে একটি মাটির ব্যাংক, যেখানে তারা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ জমাতে পারবে।
এই উদ্যোগ সফল করতে, শিশু ফোরামের সদস্যরা নিজেদের সাধ্যমতো চাঁদা তুলে ছোট্ট শিশুদের হাতে তুলে দেয় মাটির ব্যাংক। এই ছোট উদ্যোগই বদলে দিতে পারে তাদের ভবিষ্যৎ।
একটি মাটির ব্যাংক শুধু টাকা জমানোর উপায় নয়, এটি দায়িত্ববোধ শেখায়, স্বপ্ন দেখার অনুপ্রেরণা দেয়। এই উদ্যোগ শিশুদের মধ্যে আত্মনির্ভরশীলতা ও সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলবে, যা ভবিষ্যতে তাদের বড় কিছু করতে সাহায্য করবে।
সমাজ পরিবর্তনে শিশু ফোরামের ভূমিকা
শিশুরা শুধু সমাজের ভবিষ্যৎ নয়, তারা বর্তমানেও ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে। শিশু ফোরামের সদস্যরা যখন এমন উদ্যোগ নেয়, তখন সেটি সমাজের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা বহন করে—ছোট ছোট প্রচেষ্টা একদিন বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
একসাথে কাজ করলে স্বপ্ন হবে বাস্তব
এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিশু ফোরাম সমাজে একটি শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দিয়েছে— “আমরা জানি, একসঙ্গে কাজ করলে, আমরা তৈরি করতে পারি একটি আরও ভালো সমাজ, যেখানে প্রতিটি শিশুর ভবিষ্যত হবে উজ্জ্বল।”
শিশুদের হাত ধরে যদি সমাজ এগিয়ে চলে, তাহলে একদিন এই শিশুরাই হয়ে উঠবে আগামী দিনের নেতৃত্ব। তানোর এপি শিশু ফোরামের এই উদ্যোগ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সত্যিকারের পরিবর্তন তখনই আসে, যখন সবাই মিলে একসাথে কাজ করি।
Leave a Reply