মিঠাপুকুর প্রতিনিধি:
রংপুরের মিঠাপুকুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে রাতের আঁধারে মৎস্য খামারের মাছ হরিলুট এবং চার শতাধিক আম কাছ কর্তণের অভিযোগ উঠেছে ফকিরের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধাণ শিক্ষক, আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং তার ভাড়াটে লোকজনের বিরুদ্ধে। এতে প্রায় আনুমানিক ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি খামারের মালিকের । এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭-ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা আনুমানিক ৬ টার দিকে ০৮ নং চেংমারী ইউনিয়নের ফকিরের হাট এলাকায় প্রথমে আমগাছ কর্তণ, এবং দিবাগত রাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মাছগুলো হরিলুট করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মিঠাপুকুর উপজেলার ফকিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের বেশকিছু জমির মালিকানা নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং ব্যক্তি মালিকানার দ্বন্দ্ব রয়েছে । এরমধ্যে বিদ্যালয়ের লিজ দেওয়া গিলাঝুঁকি মৌজায় ৭ একর ৯৩ শতাংশ একটি মৎস্য খামার এনামুল হক চৌধুরী (হীরা) ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত বলে দাবি করে আসছিলেন। এমনকি উক্ত খামারটি তিনি দখলে নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন। এ বিষয়ে তিনি মিঠাপুকুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত,রংপুরে একটি রেকর্ড সংশোধনী মামলা দায়ের করেছেন। মামলা চলমান রয়েছে এবং মামলা চলমান অবস্থায় এনামুল হক চৌধুরী, খামার বেদখলের সম্ভবনা থেকে আদালতের মাধ্যমে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর তা অমান্য করে ফকিরের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে তার ভাড়াটে লোকজন,খামারে হামলা চালিয়ে খামারের কেয়ারটেকার সাগর মিয়া সহ মোকছেদ আলীকে মারধর করে আমগাছ গুলো কর্তণ করেন।
২৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় আমগাছ কর্তণের পর মিঠাপুকুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী এনামুল হক চৌধুরী জানান, থানায় গাছ কর্তণের অভিযোগ দেওয়া হয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে অভিযুক্তরা (শুক্রবার) ভোররাতে আমার খামারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মাছগুলো হরিলুট করে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, খামারে তিনশ মণের অধিক মাছ ছিলো। তবে কি পরিমাণ মাছ লুটপাট এবং মারা গিয়েছে তা নেটজাল দিয়ে দেখার পর বুঝতে পারবেন বলে তিনি জানান।
খামারের নৈশপ্রহরী মোন্নাফ বলেন, রাতে আমাকে ভয়ভীতি দেখায় এবং খামারে বিদ্যুৎ না থাকায় আমি বাড়ি চলে যাই। সকালে এসে দেখছি মরা মাছগুলো আশেপাশের লোকজন নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সম্ভবত মাছ নিয়ে যাওয়ার পর দুষ্কৃতিকারীরা এখানে বিষ প্রয়োগ করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত প্রধাণ শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পুকুর বিদ্যালয়ের। সেখানে গাছ লাগার অধিকার কারো নেই। এবিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply