সাকিব আল হাসান

মুক্তাগাছা সাউথ এপি চাইল্ড ফোরাম বর্তমানে মুক্তাগাছা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শিশুদের মধ্যে ‘My Life My Vision’ বইয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করছে। ফোরামের সদস্যরা মনে করেন, এই বইটি তাদের জীবনে এক নতুন আলো ফেলেছে, যা তাদের স্বপ্ন পূরণের পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করছে।

ফোরামের এক সদস্য বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, এই বইটি আমাদের অল ভিশন থেকে পাওয়া একটি উপহার, যা আমাদের স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করছে। আমরা চাই, এই বইটির গুরুত্ব ও বার্তা আমাদের মাধ্যমে গ্রাম-বাংলার প্রতিটি শিশুর কাছে পৌঁছাক, যেন তারা তাদের জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রথম পদক্ষেপ নিতে পারে।”

এছাড়া, এলাকার শিশুদের মতামতও গুরুত্বপূর্ণ। ১৫ বছর বয়সী সাকিব, যিনি এই বইটি পড়েছেন, জানান, “এই বইটা পড়ে আমার জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন আমি জানি, কিভাবে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে। আমি এখন স্কুলে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করছি, যাতে বড় হয়ে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে পারি।”

ফোরামের সদস্যরা আরও জানান, তারা শিশুদের মাঝে এই বইয়ের বার্তা ছড়িয়ে দিতে গ্রামগঞ্জে সচেতনতামূলক কর্মসূচি আয়োজন করছেন। ১৬ বছর বয়সী আর্য, “বইটা পড়ার পর আমি বুঝতে পেরেছি, আমি বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই। এই বইটি আমাকে উৎসাহিত করেছে আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করার জন্য।”

এদিকে, এলাকাবাসীও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “আমরা আশা করি, এই বইটির মাধ্যমে আমাদের শিশুদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। এটি তাদের শুধু স্বপ্ন দেখানো নয়, বরং সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রেরণা জোগাবে।” একজন স্থানীয় শিক্ষক বলেন, “এই বইটি আমাদের সমাজে শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। যদি শিশুদের মধ্যে এমন সচেতনতা বৃদ্ধি পায়, তবে ভবিষ্যতে আমাদের সমাজ আরও উন্নত হবে।”

ফোরামের সদস্যরা বলেন, “আমরা চাই প্রতিটি শিশু তাদের স্বপ্ন দেখুক এবং সেই স্বপ্ন পূরণের পথে কাজ করুক। আমাদের বিশ্বাস, এই বইটি তাদের জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।”

শিশু ফোরাম আরও উল্লেখ করে, “আমরা বিশ্বাস করি, প্রত্যেকটি শিশুর জীবন সুন্দর হওয়া উচিত, এবং তাদের স্বপ্ন পূরণে ‘My Life My Vision’ বইটি আমাদের জন্য সহায়ক হতে পারে।” তারা আশা করেন, এই বইটি সমাজের প্রতিটি শিশুকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং ভবিষ্যতে তারা তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সক্ষম হবে।

মুক্তাগাছা সাউথ এপি চাইল্ড ফোরামের এই উদ্যোগ শিশুদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস, লক্ষ্য স্থির করা এবং কঠোর পরিশ্রমের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করবে। এটি শুধু শিশুদেরই নয়, পুরো সমাজের জন্য একটি অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠতে পারে, যেখানে প্রত্যেকটি শিশু তাদের সম্ভাবনাগুলো সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগিয়ে একটি সুন্দর এবং সফল জীবন গড়বে।

এছাড়া, ফোরামটি বিশ্বাস করে যে, শিশুদের স্বপ্ন পূরণের এই যাত্রায় সক্রিয়ভাবে সহায়তা করা তাদের জন্য একটি নতুন দিশা দেখাবে। এবং, সেই লক্ষ্যে তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে, যেন গ্রাম-বাংলার প্রতিটি শিশু তাদের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নে সফল হতে পারে।