1. admin@mknews71.com : mknews71 :
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষের হঠাৎ চেয়ারে বসার চেষ্টা, জানেনা সভাপতি ইউএনও! আল্টিমেটাম মিঠাপুকুরে তালাকপ্রাপ্ত মেয়ের বাবার বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড, ক্ষতি তিন লক্ষাধিক টাকা মিঠাপুকুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ:এলাকায় চাঞ্চল্য, আসামী পলাতক ৫৮ দিনে যে ঝড় তুলেছিলেন, সেই ঝড়েই বিদায়: মিঠাপুকুরের ইউএনও জিল্লুর রহমানের বদলি জনগণের অর্থায়নে রাস্তা সংস্কার: দৃষ্টান্ত স্থাপন করল মিঠাপুকুরের গোপালপুর ইউনিয়ন বীরগঞ্জে শিশু-যুবদের পরিবেশ সচেতনতামূলক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বৈরাতীহাট তালীমুল সুন্নাহ মাদ্রাসা ও মসজিদ উন্নয়ন উপলক্ষে আলোচনা সভা, মতবিনিময় ও দোয়ার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত ৩০ জনে ২৪ জন জিপিএ-৫ — চমকে দিল খামার হরিপুরের আইডিয়াল প্রি-ক্যাডেট স্কুল মিঠাপুকুরে ছড়ান বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উন্নয়ন প্রকল্প ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত জুলাই আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ দিনগুলোতে নির্ভীক কণ্ঠস্বর: সাংবাদিক সুলতান মারজান (হৃদয়)

কিস্তিতে মাসিক চাঁদা নেন মাদক দ্রব্যের সহকারী উপপরিদর্শক নুর ইসলাম

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩০০ বার পাঠ করা হয়েছে

মিঠাপুকুর(রংপুর) প্রতিনিধি:

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (খ-সার্কেল) মিঠাপুকুর অফিসের সহকারী উপপরিদর্শক- নুর ইসলাম, মাদক কারবারিদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে মাসিক চাঁদার কিস্তি নেন বলে জানা গিয়েছে। এর পূর্বেও এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ উঠলেও অজ্ঞাত কারণে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (DNC)। এমনকি এই কর্মকর্তা একজন পেশাদার জুয়াড়ি। তার নেতৃত্বে চলে জুয়ার আসর।

বৃহস্পতিবার (৩-এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর,(খ) সার্কেল, মিঠাপুকুরে কর্মরত সহকারী উপপরিদর্শক নুর ইসলামের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, তিনি শাহিনুর নামে এক মুদি দোকানির (মাদক কারবারির) কাছ থেকে মাসিক চাঁদা নেওয়ায় দুই যুবকের তোপের মুখে পড়েন। চাঁদা নেওয়ার অপরাধে লাঠি হাতে দুই যুবক তাকে আঘাত করার চেষ্টা করছেন। তাঁকে রশি দিয়ে বাধার জন্য হুমকি দিচ্ছেন। এসময় সহকারী উপপরিদর্শক- নুর ইসলাম, তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিয়ে সটকে পড়ার চেষ্টা করছিলেন।

মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (খ) সার্কেল,মিঠাপুকুর অফিসে যোগদানের পর থেকে নুর ইসলাম, মাদক কারবারিদের কাছে মাসিক চুক্তিতে চাঁদা আদায় করে আসছেন। কখনো নিজে কখনো সোর্স মাধ্যমে আবার কখনো তার দেয়া বিকাশ নাম্বারে প্রতিমাসের ১ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে তিনি মাসিক চাঁদা নিয়ে থাকেন। যাঁরা মাসিক চাঁদা দেন তারা নির্ভয়ে মাদক কারবার চালিয়ে যেতে পারেন। এমনকি কোনো কারণে সেসব এলাকায় অভিযান পরিচালিত হলেও যাঁরা তার সঙ্গে চুক্তিতে যুক্ত তারা আগাম খবর পেয়ে যান। আর যাদের সঙ্গে চুক্তি নেই, তাদের অভিযানে গ্রেফতার করা হয়। তবে মাদক কারবারিদের অনেকের অভিযোগ, একবার গ্রেফতার হওয়ার পর নুর ইসলামের সঙ্গে চুক্তি বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে।

মিঠাপুকুর উপজেলার ০২ নং রানীপুকুর ইউনিয়ন এবং ০৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়ন ঘুরে ছোট-বড় প্রায় ৪২ জন মাদক কারবারির তথ্য মিলেছে। যেখানে বেশ কয়েকজন মাদক কারবারি নুর ইসলামকে বা তার সোর্সকে চাঁদা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ধরন অনুযায়ী মাসিক চাঁদা দেন। যেমন, হাঁড়িয়ার জন্য ১০০০, গাঁজা ব্যবসায়ি ২০০০,চোলাই মদ ৩০০০,ইয়াবা ৫০০০,হেরোইন ৮০০০,ফেনসিডিল ব্যবসায়ীর ১০০০০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে প্রতিমাসে মাদক দ্রব্যের এই কর্মকর্তা আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা,ঘুষের মাসিক চাঁদা আদায় করে থাকেন।

গোলাপ নামে এক গাঁজা ব্যবসায়ি জানান, নুর ইসলাম স্যারকে, আমি সহ মুঞ্জর টাকা বিকাশে দেই। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজ মাদক কারবারি জানান, আমি আমার মামা মন্ডল এবং এক মামীর টাকা নিজে দেই। টাকা না দেলে বাড়িতে এসে বসে থাকে। জেলহাজতে থাকা একজনের নিকটাত্মীয় জানান, ব্যবসা বন্ধ। কিন্তু নুর ইসলাম ঈদের পূর্বের দিন পর্যন্ত টাকার জন্য ঘুরেছে। বারবার ফোন দিয়ে ঘুষের টাকা চাইতেছে। বলতেছে এবারের কিস্তি বকেয়া পড়েছে। বৈরাগীগন্জের একজন নারী ফেনসিডিল ব্যবসায়ি বলেন, আমাদের ব্যবসা বন্ধ হউক আর চালু থাকুক! কিন্তু নুরইসলাম ভাইয়ের চাঁদা বন্ধ থাকেনা। প্রয়োজনে প্রতি সপ্তাহে কিস্তিতে ঘুষ নেবে,তবু আমাদের ছাড় নেই। শুকুমনি ত্রীর্কী বলেন, আমাদের পাড়ায় সবাই ১০০০ টাকা করে দেয়,মিনি সবার টাকা তোলে। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে আমি হাঁড়িয়া বানাতে গেলে আমাকে বাঁধা দেওয়া হয়। তখন সবাই বলে আমরা চাঁদা দেই, তোকেও চাঁদা দিতে হবে। দমদমা এলাকার মনোয়ার হোসেন বলেন, এখানে নদীর উপর যে জুয়া খেলা চলে সেখানে তাকে নিয়মিত পাওয়া যায়। তাস খেলা তার প্রধাণ পেশা।

অভিযুক্ত নুর ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ বিষয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (খ) সার্কেলের উপপরিদর্শক, রফিকুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে সমস্ত তথ্য গুলো আমরা যাচাই-বাছাই করছি। বিভিন্ন অভিযোগ ইতিমধ্যেই ডিডি স্যার ক্ষতিয়ে দেখছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি