মেহেদী হাসান মুরাদ - রংপুর
মিঠাপুকুর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তুহিনকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি মিঠাপুকুর ও রংপুর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার অন্যতম আসামী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রংপুর সদরের খামারমোড় তাবলীগ মসজিদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাকে মিঠাপুকুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তুহিন দীর্ঘদিন ধরে মামলা বাণিজ্যে সম্পৃক্ত ছিলেন। বিরোধী মত দমন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা ও প্রভাব বিস্তারের জন্য তিনি পরিচিত ছিলেন। বিশেষ করে, মিঠাপুকুরে জামায়াত দমন ও আইন উপদেষ্টা হিসেবে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে মামলার তদবির করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, তুহিন শুধু স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ছিলেন না, তিনি এলাকায় রাজনৈতিক মামলা-বাণিজ্যের অন্যতম হোতা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে অসংখ্য ভুক্তভোগীর অভিযোগ। বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের হয়রানি, প্রতিপক্ষকে দমন এবং মামলা নিয়ে প্রভাব খাটানো ছিল তার পরিচিত কৌশল।
তবে শেষ পর্যন্ত নিজেই মামলার আসামী হয়ে গ্রেফতার হলেন এই নেতা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তুহিনের গ্রেফতারের ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ চাইছেন, শুধু গ্রেফতার নয়—তার বিরুদ্ধে থাকা সব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ হোক।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, মামলাগুলোর যথাযথ তদন্ত করা হবে এবং যদি তার বিরুদ্ধে আরও অপরাধের তথ্য পাওয়া যায়, তাহলে তা আদালতে উপস্থাপন করা হবে।