সাকিব আল হাসান
মিঠাপুকুর, [ ১৫ ফেব্রুয়ারি]: ফুটন্ত কুড়ি শিশু ফোরামের উদ্যোগে মিঠাপুকুর উপজেলার রানিপুকুর ইউনিয়নের দুটি গ্রামে মাসিক মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে এলাকাভিত্তিক উন্নয়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। মিটিং শেষে ফোরামের সদস্যরা তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করে।
মিটিং এবং কর্মপরিকল্পনা
ফুটন্ত কুড়ি শিশু ফোরামের সদস্যরা মাসিক মিটিংয়ে তাদের কার্যক্রমের পরিকল্পনা নির্ধারণ করেন। এদিন মিটিংয়ে আলোচনা করা হয়, রাস্তা পরিষ্কার করার পাশাপাশি, এলাকাবাসীদের পরিবেশ সচেতনতা এবং গাছের যত্ন নেয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া উচিত। মিটিংয়ের শেষে, তারা এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সবার সম্মতি পায় এবং নির্ধারিত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম
মিটিং শেষে, শিশু ফোরামের সদস্যরা নিজেদের উদ্যোগে গ্রামের রাস্তা পরিষ্কার করতে শুরু করে। স্থানীয় জনগণেরও সহযোগিতা ছিল। ফোরামের সদস্যরা গ্রামের রাস্তা থেকে আবর্জনা পরিষ্কার করেন এবং পথচলতি মানুষের জন্য একটি পরিষ্কার পরিবেশ তৈরির লক্ষ্য রাখেন।
গাছের যত্ন নেওয়াও ছিল এই কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের লক্ষ্য ছিল, এলাকায় গাছের যত্ন নেয়া এবং খুঁটি ও গাছের গোড়ায় শুকিয়ে যাওয়া অংশগুলোতে পানি দেওয়া। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তারা পরিবেশকে আরও সবুজ এবং পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্দেশ্য স্থির করেন।
সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা
ফুটন্ত কুড়ি শিশু ফোরামের এই উদ্যোগ শুধু এলাকার পরিচ্ছন্নতার জন্য নয়, এটি সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার একটি প্রচেষ্টা। সদস্যরা দৃঢ় প্রত্যয়ে বিশ্বাস করেন যে, পরিষ্কার পরিবেশ নিশ্চিত করে, তারা শুধু এলাকার সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করবে না, বরং সকলের মাঝে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করবে। তারা শিশুদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে চান, যাতে ভবিষ্যতে তারা পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে ওঠে।
ফোরামের সদস্যরা আরও আশা প্রকাশ করেন, যে কাজ তারা শুরু করেছেন তা অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে এবং এলাকার অন্যান্য শিশুদেরও অংশগ্রহণের জন্য উদ্দীপ্ত করবে। তারা জানায়, তাদের এই কার্যক্রম শুধুমাত্র স্থানীয় পরিবেশকে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখবে না, বরং সমাজে একটি মজবুত সম্পর্ক তৈরির কাজ করবে।
ফোরামের সদস্যদের বক্তব্য
ফুটন্ত কুড়ি শিশু ফোরামের এক সদস্য বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে আমাদের ছোট ছোট উদ্যোগই বড় পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে। আমাদের কাজ কেবল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়েই নয়, বরং এর মাধ্যমে আমরা সমাজের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি।”
আরেক সদস্য বলেন, “পরিষ্কার পরিবেশ বজায় রাখা, গাছের যত্ন নেওয়া এবং আমাদের আশপাশকে পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের দায়িত্ব। আমরা চাই যে আগামী প্রজন্মও এই কাজে অংশগ্রহণ করুক এবং পরিবেশের প্রতি তাদের দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি পাক।”
ফুটন্ত কুড়ি শিশু ফোরামের এই উদ্যোগ একটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। তাদের কাজ শুধু একটি পরিষ্কার পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য নয়, বরং তাদের সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। আশা করা যায়, এই ধরনের কর্মসূচি ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে এবং সমাজে আরও বেশি সচেতনতা সৃষ্টি হবে।
ফোরামের উদ্দেশ্য
ফুটন্ত কুড়ি শিশু ফোরাম ভবিষ্যতে এই ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে এবং তাদের এলাকার উন্নয়ন ও সমাজ পরিবর্তনের জন্য আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। তাদের এই পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস এবং দায়বদ্ধতা সমাজে অনেক বড় পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে।