সাকিব আল হাসান
ভাষাগত দক্ষতা উন্নয়ন ও শিক্ষার অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে প্রাণ ভোমরা শিশু ফোরাম নিয়মিত পরিচালনা করছে ইংরেজি শিক্ষণ কর্মসূচি। প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার ও শনিবার এই কর্মসূচির আওতায় এলাকার শিশুদের একত্রিত করে বিনামূল্যে ইংরেজি শেখানো হচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে শুধু ছোটদেরই নয়, বরং ফোরামের সদস্যরাও নিজেদের ইংরেজি দক্ষতা বৃদ্ধি করার সুযোগ পাচ্ছেন।
শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ
এই কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য হলো—অঞ্চলের শিশুদের মধ্যে ইংরেজি শেখার আগ্রহ বাড়ানো এবং ভাষাগত দক্ষতা উন্নত করা। অনেক শিশু স্কুলে পড়াশোনা করলেও ইংরেজি শিক্ষার ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকে। ফোরামের সদস্যরা তাদের এই ঘাটতি পূরণে সহায়তা করছেন।
প্রাণভোমরা শিশু ফোরামের সভাপতি সাকিব আল হাসান বলেন "আমরা চাই, আমাদের এলাকার শিশুরা যেন ইংরেজিতে দক্ষ হয়ে উঠতে পারে। অনেক সময় বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় শিশুরা ইংরেজি শিখতে পারে না। আমরা তাদের সহযোগিতা করছি, যাতে তারা সহজেই শেখার সুযোগ পায়।"
শেখানোর পাশাপাশি শেখার সুযোগ
শুধু শিশুদের শেখানোই নয়, এই কর্মসূচি ফোরামের সদস্যদের জন্যও বড় সুযোগ। কারণ, তারা নিজেও ইংরেজি চর্চার মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন। শিশুরা নতুন নতুন শব্দ শিখছে, বাক্য গঠনের নিয়ম শিখছে, পাশাপাশি ফোরামের সদস্যরা তাদের শেখানোর মাধ্যমে নিজেরাও নতুন কিছু শিখছেন।
একজন প্রশিক্ষক সদস্য প্রিমিয়া রায় বলেন, "আমরা শুধু অন্যদের শেখাচ্ছি না, আমরাও শিখছি। যখন আমরা শিশুদের শেখাই, তখন আমাদের নিজেদেরও চর্চা হয়। এতে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে, যা ভবিষ্যতে অনেক কাজে লাগবে।"
স্থানীয়দের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া
এই উদ্যোগ সম্পর্কে এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া বেশ ইতিবাচক। অভিভাবকরা মনে করেন, এটি একটি চমৎকার উদ্যোগ, যা শিশুদের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে। একজন অভিভাবক বলেন, "আমার সন্তান ইংরেজি নিয়ে অনেক ভয় পেত। এখন সে আনন্দের সঙ্গে শিখছে। এটি সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ।"
শিক্ষার অগ্রযাত্রায় নতুন সম্ভাবনা
প্রাণ ভোমরা শিশু ফোরামের এই কার্যক্রম কেবল শিশুদের শিক্ষা উন্নয়নেই নয়, বরং ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও বেশি শিশুদের অন্তর্ভুক্ত করে এটি একটি নিয়মিত ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পে রূপান্তরিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষা সচেতনতা বৃদ্ধির এমন উদ্যোগ শুধু ভাষা শেখার ক্ষেত্রেই নয়, শিশুদের আত্মবিশ্বাস গঠনে ও তাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।