রায়হান কবির প্রধান- মিঠাপুকুর

“শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড”। শিক্ষার জন্য চাই আদর্শ বিদ্যাপীঠ। এক সময় শিক্ষা ছিল আশ্রমে কেন্দ্রিক। শিক্ষার্থী সেই সময় আশ্রমে থেকেই গুরুর কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করত। আদর্শ বিদ্যালয় এক-একটি আশ্রমবিশেষ। এমনই এক বিদ্যালয়ের নাম মাতৃছায়া শিশু কানন।

এই বিদ্যাপীঠের অবস্থান মিঠাপুকুরের কেন্দ্রবিন্দু শঠিবাড়ী থেকে আনুমানিক ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে খামার হরিপুর গ্রামে। শঠিবাড়ী- বালুয়া আঞ্চলিক সড়কের  পাশে মনােরম পরিবেশে এ বিদ্যালয়ের অবস্থান। এর উত্তর পাশে একটি ব্যস্ত রাস্তা। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার জন্য ভালাে ব্যবস্থা রয়েছে। উপজেলার যেকোনাে এলাকা থেকে বিদ্যালয়ে সহজেই আসা যায়।

সবার জন্য শিক্ষা অর্জন করা মানুষের মৌলিক অধিকার। এ অধিকারকে যথাযথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বের অনেক দেশ আজ উন্নত দেশ হিসেবে উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করেছে।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যুগের সাথে সংগতিপূর্ণ বিকাশের জন্য আমরা প্রত্যেকেই ভাবি নিজ নিজ সন্তানদের নিয়ে। প্রকৃতির সন্তান মানব শিশুকে পরিশুদ্ধ হতে হয়, পরিপুর্ণ হতে হয় স্বীয় সাধনায়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষায় হলো মূলমন্ত্র।

মাতৃছায়া শিশু কানন কতৃপক্ষ বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি শিক্ষার মৌলিক উদ্দেশ্য হলো আচরণের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন। আর এ লক্ষ্যে তাদেরকে সৃজনশীল, স্বাধীন, সক্রিয় এবং দায়িত্বশীল সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। এ জন্য প্রয়োজন যোগ্য শিক্ষকমন্ডলী এবং উপযুক্ত শিক্ষাদান পদ্ধতির সমন্বয়ে একটি শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ বিনয়ের সাথে দাবী করি, খামার হরিপুর   মাতৃছায়া শিশু কানন এসব কিছুর সমন্বয় ঘটানো সম্ভব হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মজ্জাগত প্রতিভা বিকাশের জন্য প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কুরআন শিক্ষা হাম নাথ কম্পিউটার শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, আনুষ্ঠানিক, খেলাধুলাসহ নানাবিধ শিক্ষা। ”

একটি আদর্শ বিদ্যালয় বলতে যা বােঝায়, এ বিদ্যালয়টি তাই। মনােরম পরিবেশ, জ্ঞানী-গুণী শিক্ষক আর সেরা ফলাফলের জন্য বিদ্যালয়টি অতুলনীয়। ” মাতৃছায়া শিশু কানন “সব সময় দেশের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হােক- এই আমার প্রত্যাশা।